পলাশ নরসিংদী প্রতিনিধি :
পলাশ উপজেলার বাগপাড়া জনতা জুট মিল মাঝের গেট সংলগ্নে শফিকুল ইসলাম মোল্লার চা এর দোকান আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্তৃক বিএনপি কর্মীর উপর হামলা ও দোকান ভাংচুর এর ঘটনা ঘটে,
মোঃ শফিকুল ইসলাম (৪৫), পিতাঃ মৃতঃ ওমর আলী, সাং: বাগপাড়া, ডাকঘর: পলাশ, থানা পলাশ, জেলা নরসিংদী। আসামিরা হলেন:
১। মোঃ নান্নু সরকার (৬০), পিতা: মৃত: মাজম আলী সরকার, ২। মোঃ ইদ্রিস আলী (৫৯), পিতা: মৃত: নানা মিয়া, ৩। হাবিবুর সরকার (২২), পিতা: নান্নু সরকার, ৪। ইকবাল হোসেন (৪২), পিতা: শওকত আলী, ৫। নাইম সরকার (২৫), ৬। রুবেল সরকার (৩০), পিতা: আরজু সরকার, ৭। ছাইফুল ইসলাম সরকার (২০), পিতা: মজনু সরকার, ৮। ইব্রাহিম সরকার (৩৫), পিতা: মৃত: বাচ্চু সরকার, সর্ব সাং- বাগপাড়া, ডাকঘর: পলাশ, থানা: পলাশ, জেলা: নরসিংদী। অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান এমপির পিএস মজনু সরকারের ভাই নান্নু সরকারের কাছে চা দিতে দেরি হওয়াতে শফিকুল ইসলাম কে মারধর করেন,শফিকুল ইসলাম মোল্লার চা, বিস্কিট, পান, সিগারেট ও ভাতের হোটেল আছে। গত ১০/০১/২০২৫ খ্রিঃ তারিখে সকাল আনুমানিক ৭.৩০ ঘটিকার সময় ১নং বিবাদী মোঃ নান্নু সরকার দোকানে এসে শফিকুল ইসলামের কাছে চা দিতে বলে। চা দিতে একটু দেরী হওয়ায় ১নং বিবাদী নান্নু সরকার হঠাৎ করে ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালাগালী করতে থাকে। গালাগালীর কারন জানতে চাইলে ১নং বিবাদী আচমকা সজোরে থাপ্পর মারে এবং চলে যায়। বিবাদীগন প্রায়ই শফিকুল ইসলামের দোকানে এসে বিস্কিট, কলা, চা, সিগারেট ইত্যাদি খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যায়।
পরবর্তীতে ঐ ঘটনার জের ধরে বিবাদীগন ১১/০১/২০২৫ ইং তারিখে রাত আনুমানিক ৯.৩০ ঘটিকার সময় আবার দোকানে আশে ও চা, বিস্কিট, পান ও সিগারেট খায় এবং টাকা চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালী করতে থাকে, শফিকুল ইসলাম প্রতিবাদ করলে এলোপাথারী কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা যখম করে এবং দোকানের রেকের উপর থাকা পানের থালা ও রুটি, বিস্কুট কলা মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেয় এবং রেকের ভিতরে থাকা বেনসন সিগারেট, গোল্ডলিফ সিগারেট ও অন্যান্য সিগারেটের কার্টুন, ক্যাশ ড্রয়ারে থাকা প্রায় ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এবং দোকানের টেবিল চেয়ার ভাতের রেক ও আসবাবপত্র ভেঙ্গে ফেলে, এতে প্রায় ২,৮৫,০০০/- (দুই লক্ষ পচাশি হাজার) টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। শফিকুল ইসলামকে মারধর চলাকালীন সময়ে ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন সহ তার স্ত্রী ও ছুটে এলে ২নং বিবাদী মো: ইদ্রিস আলী শফিকুল ইসলামকে মারতে থাকলে তার স্ত্রী মুর্শিদা বেগম (৩০) বাঁচানোর জন্য আসলে ২নং বিবাদী তাকেও মারধর করে। পরবর্তিতে বিবাদীগন শফিকুল ইসলামকে ও তার স্ত্রীকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। শফিকুল ইসলাম বলেন আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। উক্ত বিষয়টি আমি আমার পরিবার ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানিয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি, আমি সমাজের কাছে একটি সুবিচার আশা করছি।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে করা হবে।