মাসুদ রানা বাবুল:-নদীমাতৃক আমাদের এই বাংলাদেশ,একসময় মাছেভাতে বাঙালি বলা হলেও এখন আর এই উপমা নেই। কারণ নদী দখল বাজদের কারণে এখন নদীগুলোর যৌবন খুঁজে পাওয়া যায় না। তার উপর নদীর পানি দুষণের কারণে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে ডাইং এর রংয়ের পানির কারনে।
নরসিংদী সদর উপজেলা শিলমান্দী ইউনিয়নের ফুল তলায় আধুরি কালেকশন ডাইং এন্ড প্রিন্টিং এর বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
তাদের অভিযোগ ফুলতলা এলাকার সাধারন জনগন দীর্ঘদিন। যাবত আধুরী কালেশন ডাইং এন্ড প্রিন্টি এর বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষন ও এলাকায় জলাবন্ধায় সৃষ্টির করে আসছে। রাতে তারা ইটিভি চালায় না এবং তাদের সেফটি ট্যাংকির পানি মধ্যে রাত্রে রাস্তায় ছেড়ে দেয় এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় ও দূর্গন্ধ ছড়ায় এই রাস্তা দিয়ে স্কুলগামী ছাত্র/ছাত্রী মুসলিদের মসজিদে যাতায়াতের সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং পথচারীদের পায়ে ঘা হয়ে যায়। রাত্রে যখন দূষিত পানি ছাড়ে তখন তার দুর্গন্ধ ও মশার কামড়ে মানুষে ঘুম হারাম হয়ে যায়। এই কারখানার ২০ গজ দুরে হাজী মোসলেম উদ্দিন মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয় ও সেকেরচর হরিগোবিন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই কারখানার একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ৫০০ কেভি জেনারেটর রাস্তার পাশে দীর্ঘদিন যাবৎ চলছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটরটি চালু করলে জেনারেটের শব্দে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে পড়াশুনা করতে ব্যঘাত ঘটছে, এলাকায় ব্যাপক শব্দ দূষন হচ্ছে কারখানার পরিবেশ দূষন, জলাবদ্ধতা, শব্দ দূষনের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। কারখানার জমির মালিক দীপেন চন্দ্র সাহা ও কারখানার বর্তমান ভাড়াটিয়া জহির উদ্দিন এর কাছে বার বার জানালে ও উক্ত বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয় নি। পাশাপাশি কারখানার ভাড়াটিয়া জহির উদ্দিন এলাকাবাসীকে বিভিন্ন হুমকি দামকি দেয় ও গর্জনের সাথে বলে আমি পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনকে পকেটে রাখি, মানববন্ধন গণস্বাক্ষর দিয়ে আমাকে কিছুই করতে পারবে না তাদেরকে ম্যানেজ করে ব্যবসা চালাচ্ছি এলাকাবাসীর অভিযোগ আমার কোন আসে যায় না।তার অত্যাচার থেকে বাঁচতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে গণ স্বাক্ষর দেয়। দীর্ঘদিন গত হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেই নি ।
এ বিষয়ে নরসিংদী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বলেন,আমরা যাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ পাই যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। আদুরী ডাইং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব জনগণের সমস্যা সৃষ্টি করবে আমরা তা মেনে নিব না । এই বিষয়ে আদুরী ডাইং এর মালিক জহির উদ্দিনকে বক্তব্য নিতে তিনবার কারখানায় এই প্রতিবেদক গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি স্টাফরা জানান পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা প্রশাসক সাংবাদিক আমাদের মালিকের কিছুই করতে পারবে না আমরা সবাইকে টাকা দেই । এ বিষয়ে কারখানার জমির মালিক দিপেন সাহা বলেন অভিযোগ হয়েছে জেলা প্রশাসকের লোক পরিবেশ অধিদপ্তরের লোক আমার সাথে যোগাযোগ করেছে কারণ জানতে চেয়েছে কিছু সমস্যা আছে আমি সমাধা করে ফেলব ।