মোঃ সালাহউদ্দিন আহমেদ:নরসিংদীর মনোহরদী পৌর এলাকায় মৃত স্ত্রীর লাশ খাটের নিচে রেখে খুব স্বাভাবিক ভাবেই ৬ দিন বাড়িতে বসবাস করছিলেন এক সাবেক প্রাথমিক শিক্ষক মোক্তার উদ্দীন তালুকদার (৬৮) ও তার ৪ মেয়ে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পাড়া প্রতিবেশি পুলিশে ফোন করলে গলিত লাশ উদ্ধার করে। বাবাসহ চার মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে। মনোহরদী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন মোক্তার উদ্দীন তালুকদার, তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৫৬) ও চার মেয়ে। গত সোমবার (৫ জুন) ভোরে নাজমা বেগম মারা যান। পরিবারের লোকজন বলছেন, নাজমা নাকি মৃত্যুর আগে তার পরিবারের সবাইকে বলে যান, মৃত্যুর ৩-৪ দিন পর তিনি পুনরুজ্জীবিত হবেন। প্রতিবেশি ও আত্মীয় স্বজনদের কেউ এ ঘটনা আঁচ করতে পারেননি। পরে ঘরের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে পাড়া প্রতিবেশিরা পুলিশে খবর দেন। শনিবার (১০ জুন) মধ্যরাতে পুলিশ ঘরের দরোজা ভেঙ্গে খাটের নিচ থেকে নাজমা বেগমের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় বাবা ও চা মেয়ে ঘরের ভেতরই অবস্থান করছিলেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের সবাইকে থানায় নিয়ে গেছে। বিষয়টির রহস্য উদঘাটনে পুলিশি তদন্ত অব্যহত রয়েছে। মনোহরদী থানার ওসি ফরিদ উদ্দীন আমাদের নরসিংদী ডটকমকে বলেন, পরিবারটি এক পীরের মুরিদ বলে জানিয়েছে। তারা প্রতিদিন ভোররাত ৩ টা থেকে সকাল ৫টা-৬টা পর্যন্ত জিকির করতেন। জিকিররত অবস্থায় নাজমার মৃত্যু ঘটে।এরপর আবার জীবিত হবে সেই আশায় ওই মহিলার লাশ তারা খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। এই ঘটনা জানার পর পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। পরিবারের সবাইকে মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে মনে হয়েছে। তাদেরকে পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃত্যুর আসল কারণ বলা যাবে।
Leave a Reply