আনুমানিক প্রায় ৪শ বছর পূর্বের জমিদারী আমলে প্রতিষ্ঠা করা হয় বর্তমান নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার বাজার সংলগ্ন মসজিদটি। যা বর্তমানে বেলাব বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদটি যখন প্রথম প্রতিষ্ঠা হয়, তখনই এটি এলাকার অন্য মসজিদ থেকে একটু ভিন্ন কাঠামোতে প্রতিষ্ঠা হয়। প্রায় ১২ শতাংশ জমির ওপর সাদা চুনের পালিশে মজবুত পিলারে দাড় করানো হয় সাত গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদটি।
লোক মুখে শোনা যায় কালের সাক্ষী এ মসজিদটির ভেতরে নাকি আগে অলৌকিকভাবে কুরআন তেলাওয়াত শোনা যেত। ফলে মসজিদটি ” ফজিলতের মসজিদ ” হিসেবেও পরিচিতি লাভ করে।
ওই মসজিদের প্রথম প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা কে? তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়। প্রবীণ এলাকাবাসীর মধ্য থেকে নির্মিত মসজিদটির জমিদাতার নাম জানতে চাইলে কেউ বলেন, বীরবাঘবের গ্রামের জনাব মাহমুদ ব্যাপারী। কারও মতে অন্য কেউ।
তবে মসজিদের খতিব ড. খলিলুর রহমান জানান, তথ্য উপাথ্যের মাধ্যমে আমি জানতে পারি এই মসজিদের মূল জমিদাতা হলেন জমিদার দেওয়ান আব্দুল মান্নান দাদ খাঁনের মেয়ে দেওয়ান আয়শা আখতার খাতুন । যিনি ছিলেন কিশোরগঞ্জের হয়বত নগর দেওয়ান বাড়ীর বাসিন্দা। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইদগাহ ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার জমিদাতাও তিনি। তিনি ছিলেন হযরত শাহ জালাল ইয়ামানি রহ. এর বন্ধুবর শাহ হামজা ও গভর্ণর শাহ সেকান্দরের উত্তরসূরী।
জমিদারদের গড়ে যাওয়া এ মসজিদটি চুনের প্রলেপে সাদা মসজিদটি হয়ে পড়ে ফেকাশে।