কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ,যার নাম আশেপাশের জেলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতি শুক্রবারে হাজার হাজার মুসুল্লি জুমার নামায আদায় করে থাকেন।
রাজধানী শহর ঢাকা থেকেও লোকজন আসেন এখানে নামায আদায় করতে।
এখানে মহিলাদের জন্যে আলাদা নামাযের সুব্যবস্থা রয়েছে। মুসুল্লীদের জন্যে এ যেন এক মহা মিলনমেলায় পরিনত হয়। স্বচক্ষে না দেখলে উপলব্ধি করা যাবেনা। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশ বিরাজ করে।
প্রতি শুক্রবারে মসজিদের দান বাক্সে প্রচুর টাকা মুসুল্লীগণ দান করে থাকেন।
অনেকে স্বর্ণালংকারও দান করে থাকেন।অনেকের ধারণা মসজিদে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়ে থাকে।
প্রতি ৩ মাস পর পর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে দান বক্স খোলা হলে ৩ কোটি থেকে সাড়ে ৩ কোটির মতো টাকা সংগ্রহ হয়ে থাকে।যা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি।
গাছের ফল,মুরগী,ছাগলসহ অনেক জিনিস মানুষ মানত করে পাগলা মসজিদের নামে।
বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি যিনি এই মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা।কিশোরগঞ্জে “শহিদ পাগলা” নামে সবার কাছে সু-পরিচিত একজন ব্যক্তি ছিলেন তিনি।
ছবিতে দেখানো লোকটাকে চিনেন না,কিশোরগঞ্জে এমন খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে।
জনশ্রুতি রয়েছে তিনি পাগল ছিলেন কিন্তু তিনি ছিলেন আল্লাহর পাগল।
এই সেই মহান ব্যক্তি যার হাত ধরেই কিশোরগঞ্জে বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মার্কেটে মাঝেমধ্যে ওনাকে দেখা যেতো। মানুষের কাছে এসে বলতো “দে তর উপকার হবে দে”
আবার ওনি হাত পাতলে কিছু দেয়নি এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে।
লোকমমুখে শোনা যায় ওনাকে অনেক সময় দেখা গেছে ১০ফুট লম্বা টিন মাথায় বা মাটি দিয়ে টেনে টেনে আছড়াতে আছড়াতে নিতে।
হয়তো ভাবতে পারেন এইসব কালেকশন করে কি করতো?
তিনি কালেকশন করে বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় দিতেন।তিনি নিজের জন্যে কিছুই করেন নি।
তার হাত ধরেই কিশোরগঞ্জের অলিতে গুলিতে বিভিন্ন মাদ্রাসা মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তার মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ ও
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে জামে মসজিদ।তিনি অসংখ্য মসজিদ মাদ্রাসার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।
তিনি কিশোরগঞ্জের স্মরণীয় ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। শহিদ পাগলা ২০১৫ সালের ১জুলাই তারিখে ইন্তেকাল করেছেন।
আল্লাহ সোবহানাতায়ালা যেন উনাকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করে
Leave a Reply