নিজেস্ব প্রতিবেদক:-
নরসিংদীর মনোহরদীতে ঘরে ঢুকে আনিকা নামে এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন ওই শিক্ষার্থীর খালা পাপিয়া সুলতানা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকাল সারে ৪ টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দনবাড়ি এলাকায় মনোহরদী সরকারি কলেজের পিছনে মৃত আবদুস ছাত্তারের বাড়িতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল হোসেন ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আনিকা নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের পুরাদিয়া এলাকার মৃত শাহজাদা নূর আলমের মেয়ে ও মনোহরদীর কৃষ্ণপুর টেক্সাইল ভোকেশনাল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
তার খালা পাপিয়া সুলতানা মনোহরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মৃত আবদুস ছাত্তারের স্ত্রী। তিনি আনিকার স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
স্থানীয়রা জানান, পাপিয়া সুলতানার ছেলে আর মেয়ে কেউই বাড়িতে থাকে না। ছেলে বিদেশে ও মেয়ে নরসিংদীতে পড়াশোনা করেন। তিনি তার বোনের মেয়ে আনিকাকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করতেন। মায়ের নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে চাকরি করার সুবাদে খালা পাপিয়ার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত আনিকা। কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে তা জানা যায়নি।
তারা জানান, সোমবার বিকালে চিৎকারের শব্দ শুনতে পেয়ে আশেপাশের লোকজন বাড়িতে গিয়ে ঘরের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় আনিকাকে মৃত ও খালা পাপিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পাপিয়াকে উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসকরা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ঘর থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করে। আর মরদেহের সুরতাল করে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নিহতের খালু মিজানুর রহমান মিলন বলেন, খবর পেয়ে বাড়িতে এসে আনিকাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। আর পাপিয়াকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করেছি। সেইসাথে ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।