মো:বেলায়েত হোসেন, পলাশ-নরসিংদী:
ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে পৌর বিএনপি’র সহ-সভাপতি মোঃ আলম মোল্লার নামে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী পৌর বিএনপি নেতা মোঃ আলম মোল্লার অভিযোগ, Duronto palash( দুরন্ত পলাশ) এবং পলাশের কথা নামে ফেক ফেসবুক আইডি খুলে তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন মানহানিকর পোস্ট ও মন্তব্য করছে।
ভুক্তভোগী পৌর বিএনপি নেতা মোঃ আলম মোল্লা বলেন “আমি নিম্নদ্বান্তরকারী মোঃ আলম মোল্লা (৪৯), পিতা: মোঃ আলাউদ্দিন মোল্লা, মাতা মোসাঃ ছবিয়া বেগম, জাতীয় পরিচয় পত্র নং: ২৮১১০৭৬৩৯৩, ঠিকানা (স্থায়ী) -৫০/১, গ্রাম পলাশ, থানা-পলাশ, জেলা-নরসিংদী ও ঠিকানা (বর্তমান)-৫০/১, গ্রাম-পলাশ, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড-ওয়ার্ড নং-০২, খানা পলাশ, জেলা নরসিংদী ।
আলম মোল্লা আরো বলেন আমি থানায় গিয়া একটি সাধারন ডাইরী করার আবেদন করিতেছি ,০৫ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখ সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় পলাশ থানাধীন পলাশ দড়িহাওলাপাড়া সাকিনস্থ আমার নিজ বসত বাড়িতে অবস্থান করা কালে আমার ফেসবুক আইডি হইতে দেখিতে পাই যে, Duronto palash(দুরন্ত পলাশ) এবং পলাশের কথা নামে ফেক ফেসবুক আইডি খুলে আমার নামে মিথ্যা, গায়েবী ও বানুয়াট অপপ্রচারমূলক পোষ্ট করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করিতেছে। অজ্ঞাতনামা লোকেরা আমার বিরুদ্ধে Duronto palash (দুরন্ত পলাশ) এবং পলাশের কথা নামে ফেক ফেসবুক আইডি খুলিয়া মিথ্যা পোষ্ট করিয়া মানহানির অপচেষ্টা করিতেছে। আমি উক্ত বিষয়টি স্কীনশর্ট নিয়ে তথ্য প্রমাণ হিসাবে থানায় দাখিল করেছি। ভবিষ্যতে তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে প্রয়োজন সাপেক্ষে আইসিটি ও মানহানি মামলা করার জন্য পুনরায় আবেদন করা হবে বলেও তিনি জানান।
এ সময় ভুক্তভোগী পৌর বিএনপি নেতা মোঃ আলম মোল্লা আরো বলেন “ফেক আইডির মাধ্যমে আমার সামাজিক ও ব্যক্তিগত সম্মান ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে, যা মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, কারো নামে ফেক আইডি খুলে অপপ্রচার চালালে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে বলে জানান পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন।
সাইবার অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়েছেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগীর দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত এবং সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে রিপোর্ট করা দরকার।এরই প্রেক্ষিতে তিনি স্থানীয় থানার ওসি মোঃ মনির হোসেন জানান।আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি তদন্ত করছি। আইসিটি আইনের আওতায় দোষীদের খুঁজে বের করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।