নরসিংদীর পলাশে গণমাধ্যম কর্মীর জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা

রিপোর্টারের নাম / ১১ দেখা হয়েছে
সময় বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

হাজী জাহিদ

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার বিএডিসি মোড় সংলগ্ন মেইন রাস্তার পাশে গণমাধ্যম কর্মীর দুইতালা বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বিএডিসি মোড়ের ভাগ্যেরপাড়া বাসিন্দা নুরুল হক ২৮ বছর পর তার ভাতিজা হারুন অর রশিদের ৩ শতাংশ জমির উপর নির্মিত দুই তলা বিল্ডিং জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করছে।এ নিয়ে এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির বিরাজ করছে। সরেজমিন ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জমির মালিহারুন অর রশিদ জানান, বিআরএস খতিয়ান ৬২০-আরএস দাগ নং ২০০৭,২০০৮ এ ৫৪ শতাংশ জমির মধ্যে ৩ শতাংশের ক্রয়সূত্রে মালিক আমি।আমার চাচা আনোয়ার হোসেন তার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে চাচী নাসিমা বেগমকে ৩ শতাংশ জমি দিয়ে যান। চাচা মারা যাওয়ার পর চাচী নাসিমা বেগম তিন সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয় বিদায় এই জায়গা বিক্রি করলে আমি ক্রয় করি । সম্প্রতি আমার আরেক চাচা নুরুল হক এই জমি জোরজবর দস্তি করে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। মিথ্যা বানোয়াট কাগজপত্র নিয়ে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছে তিনি এই জায়গার মালিক এবং বিভিন্ন জায়গায় লোক মারফতে বিচার সালিশ দিতে থাকে। আজ থেকে ২২ বছর আগেও তিনি সালিশ দরবার করে এই জায়গা নিতে চেয়েছিলেন, তখন বিচারে অপমান অপদস্ত হয়ে কোন কিছু করতে না পেরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তার জায়গা আমি দখল করে রেখেছি। পরে এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সামাজিক বিচারে আমাকে এই জায়গা বুঝিয়ে দেয়া হয়। আমি ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে জমিতে ভবন নির্মাণ করি।আর জমির সঠিক মালিকানার কাগজ পত্র ছাড়া ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া যায় না।
এ বিষয়ে নাসিমা বেগম জানান,আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তান নিয়ে চলতে কষ্ট হওয়ায় হারুনের কাছে ৩ শতাংশ জমি বিক্রি করি।জমির বিষয়ে নুরুল হক বলেন,আমার মা খুশি হয়ে আমাকে সাড়ে ৩৫ শতাংশ জমি দেন।পরে আমি তা আমার নামে খারিজ করি।আমার অপর তিন ভাই এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে মামলা করে ও মামলায় হেরে যায়। স্থানীয় জনগণের শাক্ষাতকারে সাবেক মাখন মেম্বার জানান আমি ১৯৯৬ এ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে শালিশ করে দেখেছি এই বসতভীটা পৈত্রিক সুত্রে বর্তমান মালিক হারুনের চাচার, চাচা তার স্রীকে লিখে দেয়া হারুন চাচার স্রী নাসিমার নিকট থেকে খরিদা সুত্রে বর্তমান মালিক। এলাকার লোক আজহার, আল-আমীন, উজ্জ্বল অনেকই জানান এই এই বসতভিটা হারুনের বৈধ,গ্যস,বিদ্যুৎ পৌর কর, হোল্ডিং সব বৈধভাবে হারুনের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর