ব্রেকিং নিউজ
সরকারি খাল থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ”                             বিএনপির এক নেতা হ্যামিলিওনের বাঁশিওয়ালা হয়ে ভোটের মাঠে কাজ করতে প্রস্তুত পলাশের ছাত্রদল পলাশে প্যারালাইজড আম্বিয়াকে হুইলচেয়ার উপহার পলাশে হতদরিদ্ররা পেল না নতুন জামা ও ঈদ সামগ্রী- “নেই নেতাদের উদ্যোগ” নরসিংদীর পলাশে এলাকাবাসীর মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ – সৌজন্যে” ড. আবদুল মঈন খান নরসিংদীর পলাশে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস পালিত ঘোড়াশাল পৌরসভা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল নরসিংদীর পলাশে ইমাম ও উলামাদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ নরসিংদী শিবপুর আইয়ুবপুরে টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন করছেন বিএনপির নাম ধারী কিছু নেতা নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন

Ads

নরসিংদী চালাকচর ভূমি অফিসের নায়েবের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম / ৪৫ দেখা হয়েছে
সময় শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৫

মো:বেলায়েত হোসেন,পলাশ -নরসিংদী

নরসিংদী জেলার চালাকচর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব মোঃ মনির হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত টাকা ঘুষ আদায় করছেন নায়েব মনির হোসেন।

বাংলাদেশ সরকার ভূমির নামজারির ফি ১ হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করলেও তিনি সর্বনিম্ন ৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছেন। আর অশিক্ষিত মানুষের কাগজপত্রে ত্রুটি না থাকলেও তিনি ভুল বুঝিয়ে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা আদায় করছেন বলে এমন অভিযোগ অনেকের।

তিনি চালাকচর ভূমি অফিসে যোগদান করার পর ৫ বছরে মধ্যে শুধু জমির নামজারিতে ঘুষ-বাণিজ্য করেছেন প্রায় ১কোটি টাকার উপরে। এখন তার মাসিক ঘুষ-বাণিজ্যের টাকার পরিমাণ প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা।

সামান্য ভুল থাকলেও জমির মালিকদের কাছ থেকে নিজে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। কেউ টাকা না দিলে তিনি কোনো কাজই করেন না এবং কাগজপত্র তালাবদ্ধ করে রেখে দেন। ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণে তিনি কয়েক গুণ টাকা নিয়ে থাকেন। এই ভূমি অফিসের চৌকাঠ পেরুলেই ভূমি কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেনের নিজের করা আইন মানতে হয় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে।

সরেজমিনে জানা গেছে, ভূমি অফিসে নামজারি, জমিভাগ, খাজনা আদায়, জমির পর্চা (খসড়া) তোলাসহ সব কাজে সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে অনৈতিকভাবে বাড়তি টাকা নিচ্ছেন তিনি। চুক্তির টাকা ছাড়া কোনো ফাইলই নড়ে না। তার দুর্নীতির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ভূমি মালিকরা।

চালাকচরের আব্দুল আলীমের পুত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি সরাসরি জমির ১৬৮৭ দাগের সাড়ে পাঁচ শতাংশ জমি নামজারি করতে গিয়ে তিনি বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। সব কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও তার কাছে দেড়লক্ষ টাকা নামজারি করার জন্য ঘুষ যাওয়া হয়, অগ্রিম ৫০.০০০ হাজার টাকা দেওয়া হয় নায়েবকে। দালাল ছাড়া গেলে সবার সঙ্গে এমনই করা হয়।

জানা যায় নায়েবের স্থায়ী বাড়ি মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দি ইউনিয়ন চালাকচর ৫ বছর থাকার সুবাদে ঘুষের টাকায় মনোহরদী কয়েক কোটি টাকার উপরে খরচ করে বানিয়েছেন বাড়ি।
নরসিংদী থাকেন বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে।এলাকার সচেতন মহল নায়েব মোঃ মনির হোসেনের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চালাকচর এলাকার বাসিন্দা জানান, মোঃ মনির হোসেন নায়েব একাধিক মানুষের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। সময়মতো চাহিদা পূরণ না করতে পারলে ঘুরতে হয় মাসের পর মাস।

এসব প্রসঙ্গে নায়েব মোঃ মনির হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ সত্য নয়, মনোহরদী বাড়ি আমার আছে এটা সত্য আর নরসিংদী ভাড়া থাকি।

মনোহরদী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজিব মিয়া বলেন, নায়েব মোঃ মনির হোসেনের বিরুদ্ধে যদি এমন কোনো অভিযোগ থাকে, তদন্তের মাধ্যমে দোষীপ্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন সাংবাদিক বা কোন ব্যক্তি ভুল তথ্য দিয়ে সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করলে আইনের আওতায় এনে তার শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর